বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন

বিশ্বব্যাপী মন্দার বিষয়টি ধীরে ধীরে ঘনীভূত হচ্ছে : সিপিডি

বিশ্বব্যাপী মন্দার বিষয়টি ধীরে ধীরে ঘনীভূত হচ্ছে : সিপিডি

স্বদেশ ডেস্ক:

বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার বিষয়টি চলমান ও তা আরো ধীরে ধীরে ঘনীভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলছে, মূল্যস্ফীতি এখন ইতিহাসের চূড়ান্ত চূড়ায় রয়েছে এবং তা লাগামহীন অবস্থায় আছে।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আভাস ও বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ উত্তরণ কোন পথে?’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সংগঠনটির পক্ষে এসব কথা বলা হয়।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আভাস দেখা গেছে। বিশ্ব জুড়েই মূল্যস্ফীতি ঐতিহাসিকভাবেই ঊর্ধ্বগতিতে রয়েছে। বিভিন্ন দেশে প্রবৃদ্ধি হয় নিচে, অথবা নেতিবাচক দিকে রয়েছে। আমরাও সেই প্রভাব অনুভব করছি। এই সংকটটি চলমান ও ঘনীভূত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি লাগামহীন। আন্তর্জাতিক পণ্যের দামও বেশি। আবার দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও বেশি। খাদ্য সংকটেরও আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এফএও পৃথিবীর ৪৫টি দেশ খাদ্য সংকটের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে, এই তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে।’

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক খাদ্য সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও) বলছে, দুর্ভিক্ষ আসছে এবং বিষয়টি সত্য। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি আবহাওয়া ভিন্ন রূপ হিসেবে বন্যা, খরা বাড়ছে।

‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে শুধু পণ্য সরবরাহে সমস্যা হয়নি, কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে,’ বলেন তিনি।

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ সাত ধরনের সংকটে পড়েছে বলে মনে করে সিপিডি। সেগুলো হলো ডলার সংকট, জ্বালানি সংকট, মূল্যস্ফীতি, খাদ্য সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট, কোভিড ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের বাজার আমদানিনির্ভর। দেশে জ্বালানি তেলের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বা ডলার সংকট রয়েছে। জ্বালানি তেল আমদানি ক্রমে ক্রমান্বয়ে কমে আসছে। তারা বলছে, অর্থ নেই। অর্থের প্রাপ্যতা কম। এলএনজি আমদানিও কমানো হয়েছে। টাকার অভাব যেমন রয়েছে সংকট রয়েছে সরবরাহেরও। কিন্তু জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্বিবেচনা করা উচিত। কারণ দেশে মূল্যস্ফীতি বেশি রয়েছে। জনগণ যাতে পরিত্রাণ পায় সেটি বিবেচনা করা উচিত।’

বেসরকারি খাতে মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় বেতন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে সিপিডি বলেছে, ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধিও যথেষ্ট নয়। ওএমএস কার্যক্রম আরো বাড়াতে হবে। দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া এবং জ্বালানির দাম কমানো, অর্থের জন্য কর জিডিপি বাড়ানোসহ আরো কিছু পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খানসহ অনেকে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877